আমি আমার আত্মা তোমার উপর ঢেলে দেব
যোয়েল ২:২১–৩২
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও শান্তি যেন আজ আমাদের সকলের উপর পরিপূর্ণভাবে বর্ষিত হয়।
আজ আমরা যোয়েল নবীর বই থেকে যে পাঠ পড়েছি, তা ঈশ্বরের পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি বহন করে—একটি আশার প্রতিশ্রুতি যা আমাদের হতাশা থেকে উদ্ধার করে, শুষ্কতা থেকে জীবনের ঝর্ণার দিকে নিয়ে যায়।
ইস্রায়েল এক ভয়ংকর পঙ্গপালের আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। জমি ছিল অনুর্বর, মানুষের মধ্যে আর কোন আশা অবশিষ্ট ছিল না। কিন্তু ঈশ্বর তাঁর মানুষদের ত্যাগ করেননি। তিনি নিজেই তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পুনরুদ্ধারের।
এই পুনরুদ্ধার শুধু প্রকৃতির বা খাদ্যের পুনঃপ্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি নয়, এটি আরও গভীর—ঈশ্বরের আত্মার ঢালার প্রতিশ্রুতি, একটি আত্মিক নবীকরণ।
“এরপর আমি আমার আত্মা সমস্ত মানুষের উপর ঢেলে দেব…” (যোয়েল ২:২৮, বাংলা বাইবেল)
এই প্রতিশ্রুতি শুধু অতীতের ইস্রায়েলের জন্য নয়, এটি আজও আমাদের জন্য প্রযোজ্য। এই মুহূর্তে ঈশ্বর আমাদের সবার প্রতি কথা বলছেন।
ঈশ্বরের আত্মা যখন ঢেলে দেওয়া হয়, তখন আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র রূপান্তরিত হয়।
যেমন প্রেরিত ইউহন্না লিখেছেন:
“প্রিয়, আমি প্রার্থনা করি, যেন তুমি সব বিষয়েই সমৃদ্ধ হও এবং সুস্থ থাক, যেমন তোমার আত্মিক অবস্থা সমৃদ্ধ।” (৩ যোহন ১:২)
পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হওয়া মানে শুধুমাত্র আমাদের অন্তরকে নয়, আমাদের পরিবারের, কাজের, সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রকে ঈশ্বরের জীবনীশক্তিতে পূর্ণ করা।
প্রভু যীশু বলেছিলেন:
“তোমরা আগে ঈশ্বরের রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতা খোঁজো, তাহলে এই সব কিছুই তোমাদের দেওয়া হবে।” (মথি ৬:৩৩)
আসুন, আজ আমরা আমাদের হৃদয় উন্মুক্ত করি, ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনি, এবং তাঁর আত্মার কাজ আমাদের জীবনে সক্রিয়ভাবে কামনা করি।
১. পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণতা ঈশ্বরের সার্বজনীন প্রতিশ্রুতি
ইয়োয়েল ২:২৩ বলছে:
“তিনি তোমাদের জন্য যথাযথ সময়ে প্রাথমিক ও পরবর্তী বৃষ্টি দেবেন, যেমন আগেও দিয়েছেন।”
ইস্রায়েলের কৃষিজীবনের জন্য প্রাথমিক ও পরবর্তী বৃষ্টি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্বর্গ থেকে আসা ঈশ্বরের অনুগ্রহের প্রতীক।
কিন্তু এটি শুধুই প্রাকৃতিক বৃষ্টির বিষয় নয়। এটি হল ঈশ্বরের আত্মার আগমনের প্রতীক।
ইয়োয়েল ২:২৮-এ ঈশ্বর ঘোষণা করেন:
“এরপর আমি আমার আত্মা সকল মানুষের ওপর ঢেলে দেব।”
কার ওপর? সকলের ওপর।
এই প্রতিশ্রুতি কোনো জাতি, লিঙ্গ, বয়স বা শ্রেণির জন্য সীমাবদ্ধ নয়।
এটি ঈশ্বরের সার্বজনীন প্রতিশ্রুতি যা সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
যুবকেরা দর্শন দেখবে,
বৃদ্ধরা স্বপ্ন দেখবে,
এমনকি দাস ও দাসীরাও পবিত্র আত্মা লাভ করবে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, পবিত্র আত্মা কেবল যাজক, মিশনারি বা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্নদের জন্য নয়।
ঈশ্বর পবিত্র আত্মাকে প্রতিটি সেই মানুষকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যে যীশু খ্রিস্টে বিশ্বাস রাখে।
এই প্রতিশ্রুতি কেবল অতীতের কোনো ঘটনা নয়,
এটি আজকের উপাসকদের জন্য ঈশ্বরের জীবন্ত বাক্য।
২. পবিত্র আত্মার পূর্ণতা আনন্দ ও প্রত্যাশার মধ্যে প্রস্তুত হয়
ঈশ্বর বলেন:
“সিয়োনের সন্তানগণ, তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মধ্যে আনন্দ কর এবং উল্লসিত হও।” (ইয়োয়েল ২:২৩)
অনেক বিশ্বাসী আজ পবিত্র আত্মার পূর্ণতা পান না —
এটা বিশ্বাসের অভাবে নয়, বরং ঈশ্বরের প্রতি প্রত্যাশার অভাবে।
বাস্তব জীবনের চাপে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি,
অতীতের ব্যর্থতা আমাদের মনকে আটকে রাখে,
এবং আমরা আর ঈশ্বরের কাছ থেকে বড় কিছু আশা করি না।
কিন্তু ঈশ্বর বলেন:
“আনন্দ কর! আমি বৃষ্টি দেব, আমি আমার আত্মা ঢেলে দেব।”
পবিত্র আত্মার পূর্ণতা শুরু হয়,
যখন আমরা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি এবং আনন্দ ও প্রত্যাশায় আমাদের মন প্রস্তুত করি।
হ্যাঁ, অনুশোচনা চোখের জলে শুরু হয়,
যখন ক্রুশের অনুগ্রহ হৃদয়ে গভীরভাবে প্রবেশ করে,
কিন্তু পুনরুদ্ধার শুরু হয় আনন্দে,
যখন আমরা মৃতদের জীবিত করার জন্য পুনরুত্থানের শক্তিতে বিশ্বাস করি।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আজ এই সময়ে, পবিত্র আত্মার জন্য প্রত্যাশা পুনরুদ্ধার করুন।
যদি ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন,
তাহলে আমরা বিশ্বাসে, আনন্দে, আশা নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে পারি।
আসুন আমরা বিশ্বাসে তাঁর অনুগ্রহ কামনা করি এবং আত্মার কার্যকে আমাদের জীবনে স্বাগত জানাই।
৩. পবিত্র আত্মার পূর্ণতা আমাদের ঈশ্বরের স্বপ্ন ও দর্শন দেখতে সাহায্য করে
৪. পবিত্র আত্মার পূর্ণতা আমাদের অন্তরের পরিবর্তন ঘটায়
এই দুইটি অংশকে
ইভানজেলিক্যাল (Evangelical) রক্ষণশীল ধারার সংস্কৃতি ও ভাষাভঙ্গি অনুসারে
বেঙ্গলি কমন ল্যাংগুয়েজ বাইবেল (BCLB)-এর শব্দচয়ন অনুসরণ করে
ব্যাকরণগতভাবে সঠিক, ধর্মতাত্ত্বিকভাবে যথাযথ ও প্রাকৃতিক বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
📖 বাংলা অনুবাদ (ইভানজেলিক্যাল রক্ষণশীল শৈলীতে)
৩. পবিত্র আত্মার পূর্ণতা ঈশ্বরের দর্শন ও স্বপ্ন দেখার চোখ খুলে দেয়
যখন পবিত্র আত্মা আমাদের উপর এসে পড়েন, তখন আমাদের আত্মা আত্মিকভাবে জাগ্রত হয়।
যোয়েল ২:২৮-এ লেখা আছে:
“এরপর আমি আমার আত্মা সব মানুষের উপর ঢেলে দেব। তোমাদের ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যদ্বাণী করবে, তোমাদের বৃদ্ধরা স্বপ্ন দেখবে, আর যুবকেরা দর্শন পাবে।”
একটি জীবন যদি দর্শন বা উদ্দেশ্যহীন হয়, তবে তা দিকহীন হয়ে পড়ে।
যুবকেরা যদি ঈশ্বরের উদ্দেশ্য না বুঝে, তবে তারা সহজেই জগতের আনন্দ ও ভোগবিলাসে আটকে যায়।
আর বৃদ্ধরা যদি আশাহীন হয়ে পড়ে, তারা অতীতের কষ্টে আটকে থাকে।
কিন্তু যখন পবিত্র আত্মা আসেন:
যুবকেরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য খুঁজে পায়।
বৃদ্ধরা নতুন করে আশাবাদী হয়ে ওঠে।
ঈশ্বর আব্রাহামকে বলেছিলেন—
“তোমার বংশ আকাশের তারার মতো হবে।”
যখন তার একটি সন্তানও ছিল না, তখনো ঈশ্বর তাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, যা অবিশ্বাস্য ছিল।
আজও ঈশ্বর চান—পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আপনাকেও তিনি তাঁর স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য দেখাবেন।
যারা সত্যিকারভাবে এই প্রশ্ন করে:
“আমি কী উদ্দেশ্যে বেঁচে আছি?”
“ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য আমার জীবন কিভাবে ব্যবহৃত হতে পারে?”
তাদেরই ঈশ্বর আত্মার মাধ্যমে দর্শন দেন।
পবিত্র আত্মা আমাদের ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে সাহায্য করেন,
এবং সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সাহস ও শক্তি জোগান।
৪. পবিত্র আত্মার পূর্ণতা অন্তরের গভীর পরিবর্তন ঘটায়
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে বাস করেন এবং আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে পরিবর্তন ঘটান।
এই পরিবর্তন বাহ্যিক নয়—এটি আমাদের চিন্তা, আচরণ ও সম্পর্ককে ছুঁয়ে যায়।
১) প্রথমত—আমাদের ভাষা পরিবর্তিত হয়।
পঁচাশট্টি (পেন্টেকস্ট)-এর দিন, প্রেরিতরা নানা ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন।
এটি ছিল এই বার্তার প্রতীক—তাঁরা তাঁদের জিভ বা ভাষাকে ঈশ্বরের অধীন করে দিয়েছেন।
পবিত্র আত্মায় পূর্ণ মানুষ কৃতজ্ঞতার ভাষায় কথা বলেন।
অভিযোগ ও হতাশার বদলে,
উৎসাহ, সান্ত্বনা ও আশীর্বাদের কথা তাঁদের মুখ থেকে বের হয়।
২) দ্বিতীয়ত—আমরা পক্ষপাত ও সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হই।
পিতর একসময় ভাবতেন শুধুই ইহুদিরা উদ্ধার পেতে পারে।
কিন্তু পবিত্র আত্মার নির্দেশে তিনি কর্নেলিয়াস নামক এক অজাতীয়ের ঘরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে সুসমাচার প্রচার করেন।
পবিত্র আত্মা তাঁর সংকীর্ণ মনোভাব ভেঙে দেন এবং
ঈশ্বরের চোখ দিয়ে মানুষকে দেখার শক্তি দেন।
আজও পবিত্র আত্মা আমাদের নিজের গড়ে তোলা বিচার ও বিভাজন ভেঙে দেন এবং
আমাদের শেখান—প্রত্যেক মানুষই ঈশ্বরের স্বরূপধারী (image-bearer)।
৩) তৃতীয়ত—সমালোচনার মনোভাব বদলে যায় ভালোবাসায়।
যখন পবিত্র আত্মা আমাদের হৃদয়ে আসেন,
তখন আর আমরা মানুষকে দোষারোপ করি না—
আমরা ক্ষমা ও করুণার মনোভাব নিয়ে চলি।
এর ফলে:
ভেঙে যাওয়া সম্পর্কগুলো পুনঃস্থাপিত হয়,
হৃদয় কোমল হয়,
এবং ঈশ্বরের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক গড়ে ওঠে,
তেমনই মানুষে মানুষে ভালোবাসা ও ঐক্য জন্মায়।
এই পরিবর্তন সময় নিয়ে আসতে পারে,
কিন্তু যখন পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে কাজ করেন,
তখন আমরা আর আগের মতো থাকি না।
এই-ই সত্যিকারের অলৌকিক ঘটনা—একটি রূপান্তরিত হৃদয় ও এক নতুন জীবন।
৫। পবিত্র আত্মার পূর্ণতা পৃথিবীকে জীবিত করে তোলার ক্ষমতা দেয়
পবিত্র আত্মা শুধু আমাদের ভিতরে কাজ করতে চান না,
তিনি আমাদের মাধ্যমে কাজ করে মানুষকে জীবন দিতে, পরিবার পুনরুদ্ধার করতে, এবং সমাজকে রূপান্তরিত করতে চান।
পঞ্চাশদিন পর, শিষ্যরা সম্পূর্ণরূপে বদলে গিয়েছিলেন।
যাঁরা আগে ব্যর্থতা ও ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন,
তাঁরা এখন সাহসের সঙ্গে সুসমাচার প্রচার করলেন এবং তিন হাজার, পাঁচ হাজার মানুষকে প্রভুর কাছে আনলেন।
আজকের গির্জাকেও তেমনই হতে হবে।
শিক্ষা কিংবা ভবনের জোরে নয়,
জীবিত পবিত্র আত্মার শক্তির মাধ্যমে এমন গির্জা পৃথিবীকে প্রভাবিত করে।
যেখানে পবিত্র আত্মা কাজ করেন,
সেখানে সত্যিকারের প্রেম, শান্তি, সুস্থতা ও পুনঃস্থাপন ঘটে।
এইরকম গির্জার মাধ্যমেই বিশ্ব জীবন্ত ঈশ্বরের সাক্ষাৎ পায়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আজ ঈশ্বর আমাদের ডাকছেন:
এমন একটি গির্জা হতে যা মানুষকে জীবন দেয়,
পরিবারকে পুনঃস্থাপন করে,
ঈশ্বরের জীবন পৃথিবীতে প্রবাহিত করে।
এ সবকিছু শুরু হয়, যখন আমরা প্রত্যেকে পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হই।
উপসংহার ও প্রতিজ্ঞার আহ্বান
প্রিয়জনেরা,
আজ ঈশ্বর আমাদের যে বার্তা দেন, তা স্পষ্ট:
“আমি আমার আত্মা সমস্ত মানুষদের উপরে ঢেলে দেব।” (যোয়েল ২:২৮)
এটি কেবল অতীতের প্রতিশ্রুতি নয় —
এটি আজ তোমার জন্য দেওয়া জীবন্ত বাক্য।
তোমার আত্মিক অবস্থা কেমন?
তুমি কি ক্লান্ত ও অবসন্ন?
প্রার্থনা ও উপাসনা কি শুধু রীতি হয়ে উঠেছে?
তুমি কি তোমার প্রথম প্রেম হারিয়েছ?
তবে আজ, প্রভুর নিশ্বাস —
পবিত্র আত্মার বাতাস — আবার তোমার ভিতরে প্রবাহিত হোক।
“হে আত্মা, প্রবেশ করো!” (যিহিযকেল ৩৭:৯)
এই বাক্য আজ তোমার জীবনে পরিপূর্ণ হোক।
প্রতিজ্ঞার প্রার্থনা
স্বর্গীয় পিতা,
আজ আমাদের প্রতি তোমার বাক্য পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ।
যেভাবে তুমি শুষ্ক জমিতে বৃষ্টি ঢেলে দাও,
ঠিক সেভাবে আমাদের শুষ্ক হৃদয়ে পবিত্র আত্মার বর্ষণ দাও।
হে প্রভু,
আমরা মানুষের কথা শুনতে চাই না,
আমরা তোমার বাক্য শুনে বিশ্বাসে সাড়া দিতে চাই।
আমরা এখন তোমার কাছে আসি—
ভয় নয়, আনন্দ নিয়ে।
চিন্তা নয়, প্রত্যাশা নিয়ে।
হে ঈশ্বর,
তোমাকে ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না।
আমার উপর তোমার আত্মা ঢেলে দাও।
তোমার নিশ্বাসে আমাকে পুনরুজ্জীবিত করো।
পবিত্র আত্মার দ্বারা আমাকে নতুন করো।
তরুণদের জন্য দর্শন দাও,
বৃদ্ধদের জন্য স্বপ্ন,
শিশুদের জন্য নবীস্বর দাও।
আমার হৃদয়ে সেই পবিত্র দর্শন লিখে দাও।
আমার মুখের ভাষা পরিবর্তন করো—
অভিযোগ ও নিন্দা নয়,
ধন্যবাদ, প্রশংসা ও আশীর্বাদের শব্দে ভরে দাও।
আমার ভিতরের কুসংস্কার ও পুরনো চিন্তাধারা ভেঙে দাও।
তোমার চোখ দিয়ে আমি যেন মানুষকে দেখতে পারি,
তোমার প্রেম দিয়ে ভালোবাসতে পারি।
এখন, পবিত্র আত্মার শক্তিতে
আমাকে ব্যবহার করো—
পরিবারকে চাঙ্গা করতে, গির্জাকে গড়ে তুলতে,
এ দেশের মধ্যে জীবন সঞ্চার করতে।
হে পবিত্র আত্মা,
আমাকে উপেক্ষা করো না — এখনই এসো।
আমার হৃদয়কে অভিষিক্ত করো,
প্রভুর আগুন দিয়ে আমায় পুড়িয়ে শুদ্ধ করো।
হতাশা চলে যাক,
অসাড়তা বিদায় নিক,
যিশুর নামে অন্ধকারের সব শক্তি বিতাড়িত হোক!
প্রভু, আমি পবিত্র আত্মার জন্য আকুল।
পবিত্র আত্মা, এসো!
এই প্রার্থনা যিশু খ্রিষ্টের নামে করছি।
আমিন।